শহীদ মুগ্ধ হত্যা নিয়ে বিতর্কের কড়া জবাব দিলেন তার ভাইয়েরা

 শহীদ মুগ্ধ হত্যা নিয়ে বিতর্কের কড়া জবাব দিলেন তার ভাইয়েরা


জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকারীদের পানি বিতরণকালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ পুলিশের গুলিতেই নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।


বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের শেষে সাংবাদিকদের স্নিগ্ধ বলেন, মুগ্ধের মৃত্যুর পেছনে পুলিশের গুলিই দায়ী। তিনি জানান, “প্রথমদিকে একটি বিতর্ক ছিল যে গুলিটি পুলিশের পক্ষ থেকে এসেছে নাকি বাইরের কেউ গুলি চালিয়েছে। এমনকি স্নাইপার গুলির কথাও ওঠে। তবে আমাদের কাছে থাকা প্রমাণাদি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে এটি পুলিশের গুলি। আমাদের সংগ্রহ করা ভিডিও ফুটেজে এটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।”শহীদ মুগ্ধের বড় ভাই মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মুগ্ধের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছি। ১৮ জুলাই সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমাদের বাবা-মা এই ঘটনায় চরম মানসিক বিপর্যস্ত। গত ছয় মাসে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও পারিপার্শ্বিক চাপ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে তা সম্ভব হয়নি।”


তিনি আরও বলেন, “প্রথমদিকে প্রশাসনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ অকার্যকর ছিল। ফলে আমাদের নিজ উদ্যোগে ভিডিও ফুটেজ এবং সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ড সংগ্রহ করতে হয়েছে। যদিও এটি প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল, আমরা নিজেরাই এটি করেছি। আমরা আশা করি, সরকারের সহযোগিতায় ফরেনসিক পদ্ধতির মাধ্যমে ফুটেজগুলো যাচাই করে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করা হবে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।”


আরও পড়ুনঃ ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও লংমার্চের হুঁশিয়ারি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের

দীপ্ত আরও উল্লেখ করেন, “আমরা অভিযোগে কারও নাম উল্লেখ করিনি। তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের নাম উঠে আসবে। তবে আমরা সরকারের প্রতি আস্থা রাখি যে তারা সঠিক বিচার নিশ্চিত করবে।”মুগ্ধের মৃত্যু প্রসঙ্গে দীপ্ত বলেন, “মুগ্ধ যেখানে গুলিবিদ্ধ হয়, তার ১০ কদম দূরেই হাসপাতাল ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে লাশ নিয়ে পুলিশি বাধার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। লাশ কবরস্থ করার সময়ও পুলিশের এনওসির প্রয়োজন হয়েছিল, যা নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।”

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post