আলোচিত শিশু ধর্ষণ মামলার এজাহারে লোমহর্ষক বর্ণনা
মার্চ) রাত ১০টার দিকে খাবার খেয়ে বড় বোন ও তার স্বামীর সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমায় শিশুটি।
আরো বলা হয়, ঘটনা জানার পর শিশুটির বড় বোন তার মাকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানাতে গেলে তার স্বামী মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করেন। এ কথা কাউকে বললে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেন এবং তাদের দুই বোনকে আলাদা দুটি কক্ষে আটকে রাখেন। সকালে এক নারী প্রতিবেশী বাড়িতে এলে বোনের ভাসুর দরজা খুলে দেন। তখন শিশুটির মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ করানোর চেষ্টা করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে বোনের শাশুড়ি অন্য প্রতিবেশীদের সহায়তায় মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে জিনে ধরেছে বলে চিকিৎসকদের জানান। তবে চিকিৎসক ও অন্যরা বিষয়টি টের পেলে শাশুড়ি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে বাদী হাসপাতালে যান।
এদিকে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানান ঢামেক হাসপাতালের উপপরিচালক আশরাফুল আলম।
তিনি বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের সুপারিশক্রমে ও সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুয়ায়ী শিশুটিকে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার শিকার হয় মেয়েটি।
Post a Comment