সিগারেট খেলে ৪০ দিন নামাজ হয় না কতটুকু সত্য !!

 সিগারেট খেলে ৪০ দিন নামায হয় না এটা কি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত?



এ প্রশ্নের উত্তরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ধূমপানকারীর মুখ থেকে যে দূগন্ধ হয়, ধূমপানকারী নিজেই আমি মাঝেমধ্যে বলি, নর্দমার কাছে, ড্রেনের কাছে গিয়ে গন্ধ শুকে নিজের মুখের গন্ধ শুকে দেখবেন ,ওইটার চাইতে আপনার মুখের গন্ধ মারাত্নক।


তিনি একবার ঢাকার হাসপাতালের পাশে মসজিদে সালাত আদায় করতে দাঁড়িয়েছেন। তার পাশে এক ব্যাক্তি সালাত আদায়ে দাঁড়িয়েছে। তার শরীর থেকে যে গন্ধ বের হয়েছে , তিনি তাকে কিছু বলবেন বলে চিন্তা করেছিলেন। কিন্তু কিছু বললে মারধোর খাওয়ার ভয় আছে।






পরে তিনি পকেট থেকে কাগজ কলম বের করে লিখলেন, ভাই যে গন্ধ পেয়ে আমি শুকতে হলো আমার সালাত নষ্ট হওয়ার উপক্রম। কি সালাত আদায় করেছি ,মনোযোগ পুরোটাই আপনার দুগন্ধ আমাকে দখল করে নিয়ে গেছে। আল্লাহর ওয়াস্তে আল্লাহকে ভয় করেন , এমন নসিহত লিখে কাগজটি তিনি সালাতরত অবস্থায় ব্যাক্তির সামনে রেখে দৌড়ে বের হয়ে পড়েন।



তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে ক্যান্সার এখন এত ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, আমাদের দেশের কথা যদি আপনি বলেন, ঘরে ঘরে জনে জনে পরিবারে এখন ক্যান্সার ।ক্যান্সারের অন্যতম বড় কারণ হচ্ছে ধূমপান।

তবে দুর্গন্ধযুক্ত অবস্থায় নামাযে দাঁড়ানো মাকরুহ বা অপছন্দনীয় হওয়ায় ধূমপানের পর মুখের দুর্গন্ধ দূর না করে নামাজে দাঁড়ানো মাকরুহ হবে। মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে ঢুকতেও নিষেধ করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেছেন,

যে পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে, কারণ মানুষ যে খারাপ গন্ধে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও কষ্ট পায়। (সহিহ মুসলিম)

বিড়ি-সিগারেটের দুর্গন্ধ পেঁয়াজ-রসুনের দুর্গন্ধের চেয়ে তীব্র হয়ে থাকে। তাই সিগারেট খেয়ে মসজিদে গিয়ে অন্যদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে না পারলে নামাজ পড়া বা মসজিদে যাওয়া ছেড়ে দেওয়া যাবে না। সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি মসজিদে ঢোকা বা নামায আদায়ের আগে ব্রাশ করে বা অন্য যে কোনো উপায়ে মুখ ও শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে।

‘সিগারেট খেলে ৪০ দিনের ইবাদত কবুল হয় না’–এ কথা কোরআন-হাদিসের কোথাও নেই। মদ্যপায়ীর ক্ষেত্রে হাদিসে এসেছে, যে মদ পান করবে তার ৪০ দিনের নামাজ কবুল হয় না।

যেসব কারণে সিগারেট হারাম বলা হয়-

১. এতে রয়েছে অনর্থক অর্থ অপচয়। আর ইসলামে অপচয় হারাম।

২. এতে রয়েছে স্বাস্থ্যগত ক্ষতি। আর যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ইসলামে তা হারাম।

৩. বেশি পরিমাণ পান করলে জ্ঞানশূন্যতা আসতে পারে। আর যাতে নেশা, মাদকতা ও 

জ্ঞানশূন্যতা আসে, ইসলামে তা হারাম।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post