সব করলো চীন, কাজ পেল ভারত!
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে তিস্তা নদীসহ পানিভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পানি সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক নবায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এ তথ্য জানান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে বেইজিং যাচ্ছেন তিনি।এই সফরে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি চীনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (জিডিআই) নিয়েও ইতিবাচক আলোচনা হবে। তিস্তার মতো পানিভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ-চীন পানি সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক নবায়ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উচ্চতর কমিটি করার প্রস্তাব ড. ইউনূসের
তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, চীনা ঋণের সুদ কমানো, ফেরত দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো এবং কমিটমেন্ট ফি তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। চীন থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলার সহায়তার পূর্বের আলোচনা বহাল থাকবে। বাজেট সহায়তা ও প্রকল্প ঋণ দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা হবেতিস্তা প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হলেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। অথচ চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক নবায়ন হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেতে পারে ভারত। এতে প্রশ্ন উঠছে, আলোচনার পুরোটাই করলো চীন, আর কাজ পেল ভারত!
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশিদের তৈরি বিরিয়ানি বয়কটের ডাক ভারতে, সভা শেষেই বিলি ১০ হাজার প্যাকেট
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, পানি সহযোগিতা সমঝোতা স্মারক নবায়ন হবে এবং সেটিই প্রথম পদক্ষেপ। নির্দিষ্ট প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে আরও আলোচনা লাগবে। তবে বাংলাদেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চীনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি ঋণের শর্ত সহজ করা হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নে ভারতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এতে বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হলেও প্রকৃত বাস্তবায়ন ভারতের হাতে গেলে চীনের ভূমিকা নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে আগের আলোচনা ফলপ্রসূ না হলেও এখন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা বাংলাদেশের কৌশলগত সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করেছে। ফলে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, সব আলোচনার পরও চীনের কাজ কীভাবে ভারতের হাতে চলে গেল?।
Post a Comment